দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেট ভেঙে পড়ায় জলসঙ্কটের আশঙ্কা বাঁকুড়া সহ বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলে।
বড়জোড়াঃ বাঁকুড়া সহ বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলের মানুষকে আচমকা এই বিপর্যয়ে জল দেওয়াটাই এখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঁকুড়া প্রশাসনের কাছে। শনিবার দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১ নম্বর  লকগেট ভেঙে পড়ার পরে এই নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে প্রশাসনের তরফে।  
দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে পরিশুদ্ধ পানীয় জল পাইপ লাইনের মাধ্যমে বড়জোড়া, বাঁকুড়া ১ ও বাঁকুড়া ২ ব্লকে সরবরাহ করা হয়। বাঁকুড়া শহরের কিছু অংশও ব্যারেজের জল পেয়ে থাকে তবে বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসক মাননীয় মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তের আশ্বাস, ব্যারাজের জল না পেলেও শহরের কোনও এলাকাতেই জল সরবরাহে ঘাটতি হবে না। পঞ্চায়েত সমিতির তরফে ট্যাঙ্কারের মাধ্যমেও জল সরবরাহ করা হবে।
তবে বড়জোড়া, বাঁকুড়া ১ ও বাঁকুড়া ২ ব্লকে জলসরবরাহে ব্যাহত হবে বলে মনে করছে প্রশাসন। তিনটি ব্লকের মানুষজনের বেশিরভাগই ব্যারেজের জলের উপরে নির্ভরশীল,দৈনিক প্রায় ৩৪ মিলিয়ন লিটার জল দেওয়া হয়ে থাকে ব্যারেজ থেকে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই তিনটি ব্লকে জল সরবরাহ করা গিয়েছে,তার পর থেকেই বন্ধ পরিষেবা।
২০১৭সালের নভেম্বর মাসে ১ নম্বর লকগেট ভেঙে পড়ায় দুর্গাপুর শহরজুড়ে পাঁচদিন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো পানীয় জল সরবরাহ।ফের সেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে দুর্গাপুরবাসীকে। সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভেঙে যাওয়া লকগেটের সামনে প্রথমে স্ক্রীনিং প্লেট বসিয়ে অস্থায়ী গেটের ব্যবস্থা করা হবে। তারপর জলাধারে জল ভরে ফ্লোটিং গেট এনে তার সামনে বসানো হবে। এরপর শুরু হবে ভেঙে যাওয়া গেটটির মুল মেরামতি। সেচ দপ্তরের দামোদর হেড ওয়ার্কাসের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় সিং জানান " আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য পানীয় জল সরবরাহ শুরু করা এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা আমরা চালু করতে পারবো বলেই মনে করছি।"



মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন