৮০০ বছরে এই প্রথম, দীর্ঘতম রাতে ফের একসঙ্গে বৃহস্পতি-শনি - ২১ শে ডিসেম্বর ২০২০

 

২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর পৃথিবীতে দীর্ঘতম রাত। সেই দিনই এই ঘটনা ঘটবে। হিসেব বলছে মধ্যযুগের পর এমন ঘটনা বিরল। ১২২৬ সালের ডিসেম্বর মাসে এক অক্ষরেখায় এসেছিল বৃহস্পতি শনি।


সৌরজগতের বৃহত্তর দুটি গ্রহ বৃহস্পতি এবং শনি। বৃহস্পতি সৌরজগতের পঞ্চম এবং বৃহত্তম গ্রহ। এর বিরাটত্ব এতটাই যা বোঝানো কার্যত অসম্ভব। তবে উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বৃহস্পতির বিশালত্ব এতটাই যে সৌরজগতের অন্যান্য সমস্ত গ্রহ এর মধ্যে ঢুকে যাবে। বৃহস্পতির উপাদান মূলত গ্যাস। তাই বিজ্ঞানীরা এই গ্রহের নাম দিয়েছেন 'গ্যাস জায়ান্ট'। 

অন্যদিকে শনি সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। সূর্য থেকে এর অবস্থান সৌরমন্ডলের ষষ্ঠস্থানে। এর মূল বৈশিষ্ট্য হল শনির বলয়। এটি একমাত্র গ্রহ যা বলয় দ্বারা পরিবৃত। বৃহস্পতির মতো শনিও হাইড্রোজেন এবং হিলিয়ামের সমন্বয়ে তৈরি। আশ্চর্যের বিষয় হল ৮০০ বছর পর এই প্রথমবার এক অক্ষরেখায় আসবে এই দুই গ্রহ। বিশাল দুই গ্রহ  যখন এক রেখায় মিলিত হবে সেই সময় পৃথিবী থেকে এটিকে দেখতে লাগবে বড় কোনও কয়েনের মত।  


২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর পৃথিবীতে দীর্ঘতম রাত। সেই দিনই এই ঘটনা ঘটবে। হিসেব বলছে মধ্যযুদের পর এমন ঘটনা বিরল। ১২২৬ সালের ডিসেম্বর মাসে এক অক্ষরেখায় এসেছিল বৃহস্পতি শনি।


ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) এর মতে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে, দুটি গ্রহ (বৃহস্পতি এবং শনি) রাতের আকাশে পরস্পর একযোগে আসবে। পৃথিবী থেকে দেখা যাবে সেই বিরল দৃশ্য। ক্রিস্টমাসের সময়ে এই ঘটনা ঘটছে তাই একে 'ক্রিসমাস স্টার' বা 'বেথলেহেমের স্টার'ও বলা হচ্ছে। 


এই দৈত্যাকার গ্রহগুলি পাশাপাশি আসলেও এদের মধ্যে দূরত্ব থাকবে প্রায় ৪০ কোটি মাইল। তবে পৃথিবী থেকে তা বোঝার কোনও উপায় নেই। বরং রাতের আকাশে এক    অদ্ভুত আলোকসজ্জা তৈরি হবে আকাশে। ২০৮০ সালের আগে ফের এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই, এমনটাই জানিয়েছে নাসা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন দূরবীন ব্যবহার করে এই গ্রহ দেখা যাবে। দেখতে অনেকটা চাঁদের মতোই হবে বলে মত তাঁদের। 






মন্তব্যসমূহ